Maturity-Criteria

ম্যাচিওর হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন? কখন বুঝবেন আপনি Mature?

ম্যাচিওর হবার আসলে কোন বয়স লাগে না। ম্যাচিউরিটি বলতে আমরা মনের সেই বিকাশ বোঝায় যেটাতে একজন মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নিতে পারে এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে ওঠে। ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে দেখলাম বেশ ক’টি ওয়েবসাইট ম্যাচিওর হওয়ার বেশ কিছু ক্রাইটেরিয়া দিয়েছে। বেশ ভালো লেগে গেল। চিন্তা করলাম নিজের ব্লগের মনের জানালা সেকশনে জিনিস গুলো রেখে দিলে মন্দ হয় না।

ম্যাচিওর হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন?

১) সমালোচনা করবেন না। এটা আপনাকে ব্যাক্তিত্বহীন করে তুলবে। ম্যাচিউর মানুষ কখনো অন্যর সমালোচনা করেন না।

২) তর্ক করবেন না। তর্ক করলে আপনাকে হারতে হবে
নাহলে সম্পর্ক হারাতে হবে। তাই একজন ম্যাচউর মানুষ কখনো তর্ক করেন না।

৩) একজন ম্যাচিউর মানুষ অন্যদের কে সম্মান দিতে জানেন। তিনি সবসময় আপনাকে মূল্যায়ন করে কথা বলবে। তিনি কখনো আপনার প্রতি অবহেলা প্রকাশ করবেন না।

৪) একজন ম্যাচিউর মানুষ কখনো বাবা মা কে অসম্মান করেন না। তাদের সাথে সুসম্পর্ক বাজায় রাখেন। কারণ তারা বুঝতে পারেন মা বাবা একমাত্র স্বার্থহীন ভাবে তাদের জন্য সব কিছু করতে পারে।

৫) একজন ম্যাচিউর মানুষ সবসময় পরিবর্তন কে মেনে নেয়। কারণ তিনি বুঝতে পারেন পরিবর্তন আসবেই।

৬) একজন ম্যাচিউর মানুষ কখনো অন্যর সাথে নিজেকে তুলনা করেন না। কারণ, তিনি জানেন এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এ ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভার অধিকারী।

৭) একজন ম্যাচিউর মানুষ কখনো অভিযোগ করেন না। তিনি নিজের ঘাটতি গুলো খুজে বের করেন। এবং, তা পূরণের চেষ্টা করেন। কারণ তিনি জানেন, অভিযোগ কখনো সমস্যা সমাধান করে না। তিনি নিজেকে পরিবর্তন করে নেন।

৮) একজন ম্যাচিউর মানুষ কখনো অন্যর ভুল দেখে ঠাট্টা করেন না। তিনি তাকে ব্যাক্তিগতভাবে তার ভুল শুধরে দেন। যা ইম-ম্যাচিউররা প্রকাশ্য করে থাকেন।

কখন বুঝবেন আপনি ম্যাচিউরড ?

১. যখন বুঝতে পারবেন জগতের কোনকিছুই কখনো কারো জন্য থেমে থাকে না।

২. যখন অন্যের ওপর আশা করা ছেড়ে দিয়ে নিজের দায়িত্ব শতভাগ নিজে পালনে সচেষ্ট হবেন।

৩. যখন বুঝবেন প্রত্যেকে তার নিজের অবস্থান থেকে ঠিক।

৪. শুধু ঝামেলা এড়ানোর জন্যই যখন চুপ থাকবেন।

৫. গাধা শ্রেণির লোকদের সাথে তর্কে নামা শতভাগ পরিহার করবেন।

৬. বিনা বাক্য ব্যয়ে অপমান হজম করা এবং রাগ নিয়ন্ত্রনে রাখা ম্যাচিউরিটির অন্যতম লক্ষণ।

৭. নিজেই একটা কিছু- ভাবা বন্ধ হবে যখন।

৮. নিজের ভুল বুঝতে পারা এবং তা স্বীকার করার অভ্যাস হবে যখন।

৯. যখন শোঅফ করা বন্ধ হবে।

১০. যখন বুঝবেন নিজের সমস্যা অন্যকে জানানোর মতো বোকামি আর নেই। কেউ সমাধান করবে না, সহানুভূতিতে কিচ্ছু যায় আসে না।

১১. কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে যখন খুশি হবেন এবং অন্যের ভুল ধরা বন্ধ করে দিবেন।

১২. নিজের ভুলের জন্য অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করবেন যখন।

১৩. যখন বুঝতে পারবেন আপনার জ্ঞানের পরিধি শুধু সীমিতই নয়, অন্যদের তুলানায় আপনি কিছুই জানেন না।

১৪. জগতের সবকিছুই যখন স্বাভাবিক মনে হবে। কোনকিছুতেই আর অবাক হওয়া কাজ কাজ করবে না।

১৫. যখন বুঝবেন যা কিছু করেছেন সব নিজেকে ভালো রাখতেই। অন্যরা স্বার্থপর হলে আপনিও তার ব্যতিক্রম নন।

[Collected from Facebook]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top